তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি। "জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই" স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা এ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন।
১১টি পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তিস্তা নদীর তীরবর্তী ১১টি পয়েন্টে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রায় ১১৫ কিলোমিটারজুড়ে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা নদীর তীরে রাত্রিযাপন, রান্না, লোকসংগীত পরিবেশন এবং তিস্তার করুণ অবস্থা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে রাতে হাজার হাজার মশাল প্রজ্বলন করবেন।
প্রধান অবস্থান পয়েন্টগুলো
রংপুর বিভাগের অন্যান্য জেলার মতো লালমনিরহাটেও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় পরিসরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে—
১. সদর উপজেলার তিস্তা সেতু এলাকা
2. মহিপুর তিস্তা সেতু এলাকা
3. দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকা
সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে এসে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই বাড়ছে।
বক্তব্য, সাংস্কৃতিক আয়োজন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে থাকবে—
আলোচনা সভা
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন
তিস্তায় দাঁড়িয়ে মশাল প্রজ্বলন
লোকসংগীত পরিবেশনা
এছাড়া বিকেলে তিস্তা সেতু এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন।
তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন দাবি
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা সরাসরি কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা দেবেন। তিস্তা পাড়ের মানুষ এ আন্দোলনের মাধ্যমে নদীর করুণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চান এবং পানির ন্যায্য হিস্যা, তিস্তায় বাঁধ ও খননের দাবি আদায় করতে চান।