জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন। তিনি এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিয়োগ ও যোগদান

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (পার-১) উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে—
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও সহযোগী অধ্যাপক পদে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে।
আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে, অন্যথায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
তিনি এইচআরএম ডাটাবেজে মুভ ইন ও মুভ আউট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন এবং নতুন কর্মস্থলে দায়িত্ব নেবেন।

ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীনের শিক্ষা ও কর্মজীবন

জন্মস্থান: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা।

এসএসসি (১৯৮৪): শৈলকূপা পাইলট হাইস্কুল থেকে স্টার মার্কসহ ৬টি লেটার পেয়ে প্রথম স্থান।

এইচএসসি (১৯৮৬): শৈলকূপা কলেজ থেকে স্টার মার্কসহ পাস।

এমবিবিএস: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

সরকারি চাকরি: ১৭তম বিসিএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান।

সার্জারি: ২০০৩ সালে এফসিপিএস ও পরবর্তীতে এমএস (প্লাস্টিক সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন।

আন্তর্জাতিক যোগ্যতা: যুক্তরাজ্য থেকে এফআরসিএস, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফএসিএস।

প্রশিক্ষণ: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা উপস্থাপন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভূমিকা

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আহতদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই, টানা তিনদিন তিনি বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে একাই ১০০ রোগীর অস্ত্রোপচার করেন।

এজন্য তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়েন।

পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা মনিটরিং সেলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

একজন দক্ষ চিকিৎসক ও গবেষক

ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন একজন দক্ষ প্লাস্টিক সার্জন ও শিক্ষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন। তার গবেষণা ও দক্ষতার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নতুন পরিচালক হিসেবে তিনি আধুনিক চিকিৎসা ও বার্ন সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।