গত কয়েকদিনের মতো ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ঢাকার সড়কে বাসের সংকট দেখা দিয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করেছে। পরিবহন সংকটের কারণে অফিসগামী এবং অন্যান্য যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল একেবারেই কম দেখা গেছে এবং যেসব বাস চলাচল করছে, সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা। ফলে অনেকেই বাসে উঠতে পারছেন না। এর ফলে অনেক মানুষ সিএনজি অটোরিকশা, অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিং বাইক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন, যদিও এ জন্য অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা বাসগুলিকে গোলাপি রঙে রাঙিয়ে এবং ই-টিকিটিং পদ্ধতির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে মোট ২১ কোম্পানির ২,৬১০ বাস এই পদ্ধতির আওতায় আসে। এরপর থেকেই ঢাকার সড়কে গণপরিবহনের সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
এ বিষয়ে খিলক্ষেত মোড় থেকে মহাখালী যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হামিদুর রহমান জানান, "দীর্ঘ সময় ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু বাস নেই। অফিস টাইমে রাস্তায় শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন, অথচ অল্পসংখ্যক বাস আসছে এবং সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা, ফলে বাসে উঠা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।"
এছাড়া উত্তর বাড্ডা থেকে পল্টন মোড় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা খোরশেদ আলম জানান, "বাসের রঙ পরিবর্তন এবং টিকিট সিস্টেম চালু হওয়ার কারণে অনেকেই বাস নামাচ্ছে না। ফলে গণপরিবহনের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাস নামাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর ফলে রিকশা, সিএনজি এবং রাইড শেয়ারিং বাইক চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে।"
ভিক্টর বাসের সহযোগী রিপন মিয়া জানান, "বাসের রঙ গোলাপি না হলে এবং টিকিট সিস্টেম চালু না করলে পুলিশ মামলা দিচ্ছে, এ কারণে অনেক বাস মালিক বাস নামাচ্ছে না। বাসচালক ও হেলপাররা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে, তাই বাস নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না।"
এভাবে ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারীদের জন্য বাস সংকট এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।