বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান, যিনি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, তার জেল জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন। ভাতিজা আরহান খানের পডকাস্ট "ডাম্ব বিরিয়ানি"-তে তিনি তার সংশোধনাগারে কাটানো সময়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন।
শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সালমান বলেন, "আমি ক্লান্ত হলেও দিনে দেড়-দুই ঘণ্টার বেশি ঘুমাই না। মাসে হয়তো একবার সাত ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ পাই। তবে আমি কখনো কাজের ক্ষেত্রে ঘুমকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাই না।"
তিনি আরও জানান, শুটিংয়ের ফাঁকে পাঁচ মিনিটের বিরতি পেলেও চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে নেন। তবে জেলে থাকা অবস্থায় পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। "কারাগারে আমার করার মতো কিছুই ছিল না, তাই সেখানে ঘুমাতাম,"—বলেন সালমান।
সালমান আরও বলেন, "যখন কাজ বা পরিবারের কথা আসে, তখন আপনাকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কাজের জন্য সবসময় পাশে থাকতে হবে।"
সালমান খানের কারাবাস ও মামলা
১৯৯৮ সালে "হাম সাথ সাথ হ্যায়" ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। এর জেরে কয়েকদিন তাকে জেলেও থাকতে হয়।
এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যদিও কয়েকদিন পর জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে যোধপুরের নগর দায়রা আদালত পুনরায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেয়, তবে হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।
এই মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত হিট অ্যান্ড রান মামলাও ঝুলে আছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগের কারণেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তাকে টার্গেট করেছে, কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে পূজা করে।