প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত
চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন নিয়োগবঞ্চিত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক।
আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতি
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা।
তারা "তুমি কে আমি কে, শিক্ষক শিক্ষক", "দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত", "দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ"—এমন বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে নিজেদের দাবি জানাচ্ছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ১ম ও ২য় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু ৩য় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ নিয়ে জটিলতা চলছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া ও স্থগিতাদেশ
১৪ জুন ২০২৩: ৩য় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২৯ মার্চ ২০২৪: লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪: ফলাফল প্রকাশিত হয়।
১২ জুন ২০২৪: ভাইভা সম্পন্ন হয়।
৩১ অক্টোবর ২০২৪: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৬,৫৩১ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করে।
কিন্তু: ৩১ জন আবেদনকারী হাইকোর্টে রিট করলে নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত হয়।
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের একাধিক শুনানির পর চূড়ান্ত রায়ে ফলাফল বাতিল করা হয়।
শিক্ষকদের দাবি ও হুঁশিয়ারি
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্তদের বাদ না দিয়ে দ্রুত নিয়োগ কার্যকর করতে হবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
কিন্তু আদালতের রায়ের পর শিক্ষকরা নতুন সংকটে পড়েছেন এবং বলছেন দ্রুত চূড়ান্ত নিয়োগ না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
শেষ কথা
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। তারা আশাবাদী, সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসবে এবং ন্যায্য নিয়োগ পাবেন।