জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতার মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সমাবর্তনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ, যেখানে শিক্ষার বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা বাস্তবায়ন করতে হলে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, নিরক্ষরতা ও পশ্চাৎপদতা দূর করে আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের সততা, কর্মনিষ্ঠা ও দক্ষতার মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন।
সমাবর্তনে ৩,৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয় এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জনকে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে উপদেষ্টা বলেন, “তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।”
নবীন স্নাতকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তরুণরাই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আপনাদের প্রচেষ্টাতেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতায় সমৃদ্ধ। আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। প্রচলিত শিক্ষার পরিবর্তে প্রযুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এক পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”