সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার বিশেষ দোয়া ও আল্লাহর ওপর ভরসার ফজিলত
১. দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য দোয়া
হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন:
যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দোয়া ৭ বার পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের যিম্মাদার হবেন।
দোয়াটি হলো:
حَسْبِيَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّـلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ:
হাসবি-ইয়াল্লাহু লা-ইলাহা, ইল্লাহু, আলাইহি-তাওয়াক্কালতু, ওয়া-হুয়া-রাব্বুল-আরশিল আজিম।
অর্থ:
“আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তাঁর উপরেই আমি ভরসা করি, আর তিনি মহান আরশের অধিপতি।”
(সূরা তাওবা, আয়াত: ১২৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৮১)
২. আল্লাহর ওপর ভরসার ফজিলত
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি—
“যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরসা কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে এমনভাবে রিজিক দান করবেন, যেভাবে পাখিদের দিয়ে থাকেন। তারা ভোরে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং দিনের শেষে ভরা পেটে ফিরে আসে।”
(তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত, হাদিস : ৫০৬৯)
৩. উট বাঁধার হাদিস
একবার এক সাহাবি নবিজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন—
“আমি কি উট বেঁধে আল্লাহর ওপর ভরসা করব, নাকি ছেড়ে দিয়েই আল্লাহর ওপর ভরসা করব?”
উত্তরে নবিজি (সা.) বললেন—
“আগে উট বাঁধ, তারপর আল্লাহর ওপর ভরসা কর, যাতে কোনো দুর্ঘটনার কারণে উট হারিয়ে না যায়।”
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৫১৭)
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দোয়া ও আল্লাহর ওপর ভরসা করা জরুরি।
তবে শুধু ভরসা করলেই হবে না, সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নিতে হবে, যেমন নবিজি (সা.) উট বাঁধার উদাহরণ দিয়েছেন।
আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরসা করলে তিনি রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন, ঠিক যেমন তিনি পাখিদের জন্য রিজিকের ব্যবস্থা করেন।