চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হাসান তিলকরত্নের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ নারী দল নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। নিগার সুলতানা জ্যোতি, মুর্শিদা খাতুন এবং নাহিদা আক্তারের মতো খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন, আর এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারিগর হলেন হাসান তিলকরত্নে। গত আড়াই বছর ধরে তিনি নারী দলের ড্রেসিংরুমে হেডমাস্টারের ভূমিকায় ছিলেন।
তবে, এই শ্রীলঙ্কান সাবেক ক্রিকেটার সবসময়ই আলোচনার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ নারী দলের সফর শেষ হওয়ার পরই হাসান তিলকরত্নের এই অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।
২০২২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের পর তিনি বাংলাদেশ নারী দলের দায়িত্ব নেন। এরপর আড়াই বছরে তিনি দলকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও ক্যারিবিয়ান সফর শেষে পুরো দলের সঙ্গে ঢাকায় ফিরেছেন হাসান তিলকরত্নে। ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কি হাসান তিলকরত্নের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নারী উইংয়ের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক জানান, এখন পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী হাসান তিলকরত্নে শ্রীলঙ্কার হয়ে ৮৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তিনি ৪২.৮৭ গড়ে ৪,৫৪৫ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১১টি সেঞ্চুরি এবং ২০টি অর্ধশতক। এছাড়াও, তিনি শ্রীলঙ্কার হয়ে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচে ২৯.৬০ গড়ে ৩,৭৮৯ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি ফিফটি।