গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের ঢল, আজ দেড়টায় অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত। আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে ধাপে ধাপে বয়ান চলবে এবং বেলা দেড়টায় অনুষ্ঠিত হবে বড় জামাতে জুমার নামাজ।
এ ব্যাপারে শুরায়ি নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান নিশ্চিত করেছেন। নামাজে অংশ নিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মুসল্লিদের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য মুসল্লি উপস্থিত থাকবেন। বর্তমানে ৭২টি দেশের ২,১৫০ বিদেশি মেহমানও ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছেন এবং দেশ-বিদেশের আলেমদের বয়ান শুনছেন।
এবারের বড় জামাতে জুমার নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের হোসেন।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে ইজতেমা মাঠ ও তুরাগ নদের তীরে হাজারো মুসল্লির আনাগোনা দেখা যায়। শামিয়ানার নিচে অবস্থান করছেন হাজার হাজার মুসল্লি, কেউ বয়ান শুনছেন, কেউ রান্না, অজু ও গোসল করছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন।
এ বছরই প্রথম মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা এককভাবে দুই ধাপে ইজতেমা করবেন। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের ইজতেমা হবে, যেখানে অংশ নেবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লি। পরবর্তীতে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি হবে, এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে গতকাল র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান জানান, ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ব ইজতেমা এবারে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম ধাপ শেষ হবে, এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে। সাদ অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের ইজতেমা আয়োজন করবেন, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।