প্রায় দুই শতক আগে পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের হাতে ছিল পৃথিবী শাসনের ক্ষমতা, যার সর্বশেষ উদাহরণ ছিল তুরস্কের অটোমান সালতানাত। এশিয়া, ইউরোপ, এবং আফ্রিকায় মুসলিম সুলতানদের শাসন ছিল অনমনীয়। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে, এবং বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তি হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা, আধিপত্য বিস্তার করেছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সামরিক দিক থেকে তারা অনেক এগিয়ে গেছে, আর মুসলিম দেশগুলো কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। তবুও, কিছু মুসলিম দেশ রয়েছে যারা সামরিক শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছে এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের অবস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলো তাদের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ২০২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ তুরস্ক, যা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৯ম অবস্থানে রয়েছে। তুরস্কের পরে পাকিস্তান রয়েছে, যা ১২তম অবস্থানে। পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী একমাত্র মুসলিম দেশ এবং সামরিক শক্তিতে এটি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
তৃতীয় শক্তিশালী মুসলিম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়া, যা ১৩তম অবস্থানে রয়েছে। এর পরে রয়েছে ইরান, যার অবস্থান ১৬তম। ইরান তার অধিকাংশ অস্ত্র নিজেই উৎপাদন করছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও সামরিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, এমনকি পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী, ইরানের পর রয়েছে মিশর, যা আফ্রিকার সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ। মিশরের পরে সৌদি আরব ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
সপ্তম শক্তিশালী মুসলিম দেশ হিসেবে রয়েছে আলজেরিয়া এবং অষ্টম অবস্থানে নাইজেরিয়া। এরপর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম, যা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ৯ম শক্তিশালী দেশ। মালয়েশিয়া দশম অবস্থানে রয়েছে,