বিগত সরকারের আমলে সংগঠিত গুম ও হত্যার বিষয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি দাবি করেছেন, এসব গুম ও হত্যার পেছনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশ ছিল। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন।" তার এই বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এদিন ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এইচআরডব্লিউ'র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা ২০১৩ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের ওপর একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন, যাতে গুম ও হত্যার বিষয় উঠে এসেছে। পিয়ারসন বলেন, "বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন মানবাধিকারের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে।" তিনি এ সময় র্যাব বিলুপ্ত করার সুপারিশও তুলে ধরেন এবং এসব অপরাধের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানান।
অধ্যাপক ইউনূস এই প্রতিবেদনের প্রশংসা করে বলেন, "হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনগুলো গত ১৬ বছরে একনায়ক শাসনের অপরাধ উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "র্যাব তাদের অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছে, তবে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারবহির্ভূতভাবে শাস্তি প্রদান করা উচিত।"
এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে বলা হয়, "গুমের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনা বা সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং কিছু ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।"