দিনাজপুরে গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের অভাবে শীতের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় মানুষের চলাচলও কমে গেছে। শীত থেকে বাঁচতে কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছে, আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছে চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। কৃষকরা তাদের আলু, রসুন ও বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে চিন্তিত।
ট্রাক চালক তাবিব ইসলাম বলেন, ‘গত পাঁচ দিন সূর্যের দেখা নেই। এতে আমাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে এবং গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগছে।
অটোরিকশা চালক কাশেম বলেন, ‘যে পরিমাণ কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস, মানুষ বাড়ি থেকে কেমন করে বের হবে? আগে দৈনিক ভাড়া আয় করতাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কিন্তু এখন কয়েকদিন ধরে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হচ্ছে। শীত এলে আমাদের কষ্ট হয়।’
দিনমজুর আলী বলেন, ‘ঠান্ডা বেশি হওয়ার কারণে কাজ কমে গেছে। বেশি শীতের কারণে মানুষ কাজ করাতে চায় না। একদিন কাজ পাই, তো দুই দিন বসে থাকতে হয়।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকাল ৬টায় দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।’