দীর্ঘ ১৫ মাসের ভয়াবহ সংঘাতের পর অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়ে গেছে। প্রায় ৪৭ হাজার প্রাণহানির পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা শুরু হওয়ার পরও ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ গাজা দখলের দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
স্মোট্রিচ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে "মারাত্মক ভুল" ও "হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ" বলে আখ্যা দিয়ে আর্মি রেডিওকে বলেন, "ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা দখল করতে হবে এবং একটি সামরিক সরকার গঠন করতে হবে। অন্যথায়, আমি সরকার উৎখাত করব।"
এর আগে, ইসরায়েলের চরমপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরও যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে তার দলকে ক্ষমতাসীন জোট থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর ফলে ১২০ আসনের নেসেটে ক্ষমতাসীন জোটের সংসদীয় আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২টিতে।
যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত হাজারো গাজাবাসী তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইন ধরে লোকজন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটছেন। কেউ কেউ গাড়ির কনভয়ে চড়ে ফিরছেন, যেগুলো ফিলিস্তিনি পতাকা দিয়ে সজ্জিত।
তবে এই শান্তি চুক্তি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ইসরায়েলের চরমপন্থি নেতাদের হুমকি এবং হামাসের অবস্থানের কারণে যে কোনো সময় পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।