দীর্ঘ ১৫ মাসের বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলের তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে ইসরায়েল কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে, যাদের সবাই নারী ও শিশু। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি ও আল জাজিরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের মাধ্যমে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে প্রতিজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন খালিদা জারার, যিনি পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)-এর নেতা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইসরায়েলের দখলদারিত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তিনি একাধিকবার আটক হয়েছেন।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিদা ইব্রাহিম জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, যাদের কেউ কেউ ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ ছিল।
ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে, সে সংখ্যা এখনও অজানা।