আপনার ব্যস্ততার কারণে পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় হয় না। মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েই কাজে বেরিয়ে পড়েন। তবে এ অভ্যাস আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।
তাদের মতে, পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হতে শুরু করে। এতে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে এবং শরীরে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দেয়।
ইউনিভার্সিটি অব সুরি-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, যদি কেউ সপ্তাহে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুমায়, তবে শরীরের কয়েকশ’ জিনের কার্যপ্রণালীতে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে।
‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত কম ঘুম শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
গবেষকরা এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানো ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন যে, তাদের শরীরের ৭০০-রও বেশি জিনের কার্যপ্রণালীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসব জিন শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গবেষণার প্রধান, অধ্যাপক কলিন স্মিথ, বলেছেন যে, অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
স্মিথ পরামর্শ দিয়েছেন যে, পরিষ্কার এবং পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ ও মনোযোগী থাকতে হলে আমাদের ঘুমের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।