শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধি: দৈনন্দিন পণ্যে প্রভাব এবং পরিবর্তন
সরকার সম্প্রতি হোটেল, রেস্তোরাঁ, ইন্টারনেট, কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্বাক্ষরিত এই অধ্যাদেশটি কার্যকর হওয়ার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মূল বিষয়সমূহ:
ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা:
মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে বাড়িয়ে ২৩%।
ইন্টারনেট সেবার ওপর প্রথমবারের মতো ১০% সম্পূরক শুল্ক আরোপ।
আমদানি পর্যায়ে শুল্ক বৃদ্ধি:
সুপারি বাদাম: ৩০% থেকে ৪৫%।
পাইন বাদাম: ২০% থেকে ৩০%।
ফলের রস ও সবজির রসে সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে ৩০%।
তামাক ও তামাকজাত পণ্যে শুল্ক ৬০% থেকে ১০০%।
কার্বোনেটেড এবং নন-কার্বোনেটেড ড্রিংকসে ৫% থেকে ১৫% পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি।
সরবরাহ পর্যায়ে শুল্ক:
হোটেল ও রেস্তোরাঁর মদজাতীয় পানীয়ের বিলের শুল্ক ২০% থেকে ৩০%।
পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি:
পটেটো ফ্ল্যাকস, বিস্কুট, আচার, টমেটো সস, এলপি গ্যাস, চশমার ফ্রেম, এবং নারকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি পণ্যে ভ্যাট ৫% থেকে ১৫%।
রেস্তোরাঁ এবং নন-এসি হোটেলের ভ্যাট ৫% থেকে ১৫%।
দেশীয় পণ্যে ভ্যাট:
কিচেন টাওয়াল, টিস্যু পণ্য, মিষ্টি, টেইলারিং সেবা, সামাজিক ক্লাবের খরচে ভ্যাট ৭.৫% থেকে ১৫%।
ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট:
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভ্যাট ৫% থেকে ৭.৫%।
ওষুধের ক্ষেত্রে ভ্যাট ২.৪% থেকে ৩%।
সিগারেট:
সিগারেটের চার স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বৃদ্ধি।
নিম্নস্তরে: ১০ শলাকার দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা; শুল্ক ৬০% থেকে ৬৭%।
উচ্চস্তরে: ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা; শুল্ক ৬৫.৫% থেকে ৬৭%।
বিমান টিকিটে শুল্ক:
অভ্যন্তরীণ রুটে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা।
ইউরোপীয় দেশগুলোর শুল্ক ৩০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা।
প্রভাব:
এই পরিবর্তনের ফলে দৈনন্দিন পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাবে। খাদ্যপণ্য, ইন্টারনেট, পরিবহন, এবং অন্যান্য পরিষেবার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।