পান্থকুঞ্জ পার্কে র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি পরিবেশবাদীদের
পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত র্যাম্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। পাশাপাশি পার্ক রক্ষায় তরুণদের গাছ রক্ষা আন্দোলনকে যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে পবার সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পান্থকুঞ্জ পার্কে গত ২৪ দিন ধরে তরুণরা পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের পরিবেশ আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পবা এই তরুণদের দাবি ও কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানায়। কাঠালবাগান ও হাতিরপুল এলাকার একমাত্র সবুজ উদ্যান পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে এই অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
ঢাকার পরিবেশের সংকট ও সরকারি সংস্থার ভূমিকা
পবা আরও উল্লেখ করে, ঢাকা ইতোমধ্যেই বায়ুদূষণে শীর্ষস্থানে রয়েছে। শহরের পার্ক ও খেলার মাঠগুলো বিভিন্ন ক্লাব, সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি প্রকল্পের দখলে চলে যাচ্ছে। ওয়াসার পাম্প, সিটি করপোরেশনের ময়লার ডিপো, সড়ক বিভাগের নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে পার্ক ও মাঠ ধ্বংস হচ্ছে।
সর্বশেষ পান্থকুঞ্জ পার্কে র্যাম্প নির্মাণের প্রস্তাব পরিবেশবিরোধী পদক্ষেপের একটি উদাহরণ। এ ধরনের কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় মাঠ, পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। পবা অভিযোগ করেছে যে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, রাজউক এবং জেলা প্রশাসন এসব বিষয়ে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি।
এক্সপ্রেসওয়ের বিরোধিতা ও সুপারিশ
পবা জানায়, ২০০৬ সাল থেকেই তারা প্রাইভেট গাড়িবান্ধব এক্সপ্রেসওয়ের বিরোধিতা করে আসছে। এ ধরনের প্রকল্প শহরের যানজট ও পরিবেশ দূষণ বাড়াবে এবং মানবিক, সমতাভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব নগর ব্যবস্থার অন্তরায় হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা নিশ্চিত করতে হাজার হাজার মানুষের প্রয়োজনীয় পার্ক ধ্বংস করা হচ্ছে, যা অসাংবিধানিক ও অবিবেচনাপ্রসূত।
সংগঠনটি সরকারকে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল ধ্বংস করে র্যাম্প নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে নাগরিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোকে তরুণদের গাছ রক্ষা আন্দোলনের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।