বিশ্বজুড়ে শীতের তীব্রতা, ঢাকায় শীতের প্রকোপ সর্বাধিক
রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে ঘরের বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে। তীব্র ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত মরু অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দারাও। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে শীতকাল, তবে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে রয়েছে ভিন্ন চিত্র। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে প্রচণ্ড গরম পরিলক্ষিত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দক্ষিণ এশিয়া শীতে কাবু হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পরিস্থিতি ভিন্ন। মিয়ানমার, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ৩৩ ডিগ্রি এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সারা দেশের মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ার কারণে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, গতকাল ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণেই ঢাকায় শীতের প্রকোপ বেশি। একই কারণে আরিচায়ও শীত বেশি অনুভূত হয়েছে, যেখানে তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যত কম হবে, তত বেশি শীত অনুভূত হবে। এই কারণেই ঢাকায় শীতের অনুভূতি সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র।