আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান দফায় দফায় এই হামলা চালিয়েছে। হামলার ফলে সাতটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে লামান ও মুর্গ বাজার গ্রাম উল্লেখযোগ্য। মুর্গ বাজার গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র দাবি করেছে।
পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া
হামলায় একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বহু বেসামরিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধ্বংসযজ্ঞের জন্য পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান দায়ী।
হামলার পর আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আফগান ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
পাকিস্তানের অবস্থান
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করেছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় তালেবান সন্ত্রাসীদের আস্তানাকে লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
উত্তেজনার পটভূমি
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটল। বিশেষ করে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সাম্প্রতিক আক্রমণের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আফগান তালেবানকে টিটিপি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে।
বিমান হামলার পর উদ্ধার কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে খামা প্রেস জানিয়েছে।