১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীতে শহীদ পরিবারের সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি : সুমাইয়া আক্তার: জুলাই আন্দোলনের নোয়াখালীর প্রথম শহীদ- শহীদ রিজভীর ছোট ভাইকে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কর্তৃক হত্যাচেষ্টা এবং পটুয়াখালীর শহীদ জসিম হাওলাদারের কন্যা কিশোরী মেয়ে লামিয়ার খুনি-ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ নোয়াখালী।

সোমবার ১২ টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কাযালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলার অন্যতম সংগঠক মুহাম্মাদ যাইনুল আবিদীন ফারহাত।

মানববন্ধনে বক্তারা , পটুয়াখালীর শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জুলাই আগষ্টে নোয়াখালীর শহীদ রিজভীর ছোট ভাই রিমনের উপর যেসকল সন্ত্রাসী হামলা চালাই তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানায়।

সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা কাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছেন সে কথা ভুলে যাবেন না। ১৬ বছর জাতির উপর চেপে থাকা স্বৈরাচারকে যে ছাত্র-জনতা তাড়িয়ে দিয়েছে আপনাদেরকেও তাড়ানো তাদের জন্য কোন ব্যাপার না। আইন উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আইন উপদেষ্টা আপনাকে আইনের চেয়ার ছাত্ররা এজন্য বসায় নি যে আপনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করবেন। ছাত্র জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনি যদি ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসনের চিন্তা করেন তাহলে তাহলে জেনে রাখেন আপনার সে স্বপ্ন ছাত্র জনতা কখনো পূরণ হতে দিবেনা। বক্তারা প্রশ্ন রাখেন শহীদদের রক্তের দাঁড়িয়ে যারা শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা দিতে পারছেনা তারা দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কিভাবে?

তারা আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্ম বিদ্বেষ ও দুর্নীতি মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ বাংলাদেশের (UP Bangladesh) পদযাত্রা। স্বৈরাচার হাসিনা ও তার সকল দোসর এবং দল হিসেবে সম্ভাব্য সকল উপায়ে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

পিলখানা হত্যা, মোদী বিরোধী আন্দোলন, আল্লামা সাঈদীর রায় পরবর্তী সারাদেশ জুড়ে গণহত্যা এবং জুলাই গণহত্যাসহ সকল গণহত্যার জন্য সন্ত্রাসী দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, শহীদ আলম, জান্নাতুল ফেরদাউস রুমি, ইমাজ উদ্দিন ইমন, আবদুর রহমান এবং জুনায়েদ হোসেন আপন ও নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার সংগঠক বৃন্দ।

শেয়ার করুন