যশোর, মঙ্গলবার: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ক্ষমতার খায়েশ থাকলে পদত্যাগ করে দল গঠন করুন ও নির্বাচন করুন। আমাদের কিছুই লুকোছাপা নেই—জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। এদেশের মানুষ সংস্কার কী, তা ভালোভাবেই বোঝে। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়।”
আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিলে আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, প্রবলেম শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের নামে মানুষের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করলে জনগণ তা সহজে মেনে নেবে না। সংস্কার করবে জনগণ ও তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ সংস্কার প্রয়োজন, সেটুকু করে দ্রুত নির্বাচন দিন।”
ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। আমরা আশাবাদী যে আপনি দ্রুত নির্বাচন দেবেন। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশে শান্তি ফিরে আসবে।”
বিএনপি ক্ষমতায় এলে পাটকল চালু ও জলাবদ্ধতা নিরসন
সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যশোর-খুলনা অঞ্চলে পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে।”
অন্যদের বক্তব্য
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
