১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরতির প্রথম দিন গাজায় সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ

শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে প্রবেশ করল সাড়ে ৫ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন, রোববার, প্রবেশ করেছে ৫৫২টি খাদ্য ও জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে।

ওই কর্মকর্তা জানান, “রাফা ও অন্যান্য সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সারা দিনে মোট ৫৫২টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। এসব ট্রাকে জ্বালানি, ময়দা, চিকিৎসা সামগ্রী, শাকসবজি, মাংস ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ ছিল। এর মধ্যে ২৪২টি ট্রাক সরাসরি উত্তর গাজায় পাঠানো হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বাহিনীর ১৫ মাসের সামরিক অভিযানে গাজার উত্তরাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা আনরোয়া জানিয়েছে, গাজার রাফা ও কারাম আবু সালেম সীমান্তে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেছেন যে, সামনের দিনগুলোতে আরও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।

১৫ মাসের যুদ্ধ ও যুদ্ধবিরতি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, গাজা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এ হামলায় নিহত হয় ১,২০০ জন এবং অন্তত ২৫০ জনকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে।

দীর্ঘ ১৫ মাসের এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১১ হাজার মানুষ।

তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার—এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

বন্দিমুক্তি ও ত্রাণ কার্যক্রম

যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। একই দিনে, জরুরি সহায়তা হিসেবে ত্রাণবাহী ৫৫২টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।

 

শেয়ার করুন