১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘদিন একই টুথব্রাশ ব্যবহার করলে হতে পারে যেসব ক্ষতি

শেয়ার করুন

অনেকেই টুথব্রাশ কেনার পর বছরের পর বছর সেটি ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি ব্রাশটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাওয়ার পরও পরিবর্তন করার কথা ভাবেন না। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পুরোনো টুথব্রাশ দাঁত এবং মুখের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দন্ত বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রতিবার টুথব্রাশ ব্যবহারের সময় এর নাইলনের ব্রিস্টলগুলো টুথপেস্ট, পানি, এবং বিভিন্ন রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে ধীরে ধীরে ব্রিস্টলগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং বাঁকতে শুরু করে। একে ‘ব্রিস্টল ফ্লেয়ারিং’ বলা হয়।
২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ৪০ দিন একটি টুথব্রাশ ব্যবহারের পর ব্রিস্টল ফ্লেয়ারিং শুরু হয়, যার ফলে দাঁত আগের মতো পরিষ্কার থাকে না। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা ৪০ দিন পরও টুথব্রাশ পরিবর্তন করেননি, তাদের দাঁতে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

পুরোনো টুথব্রাশে ব্যাকটেরিয়া জমে যা বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ব্রিস্টল ফ্লেয়ারিং বা ব্রাশের ক্ষয় দেখলে দ্রুত টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া, যদি কোনো অজানা কারণে অসুস্থতা দেখা দেয়, তাহলেও টুথব্রাশ বদলানো উচিত।

টুথব্রাশ পরিবর্তনের সময়

দন্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, টুথব্রাশ নষ্ট হোক বা না হোক, প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর এটি পরিবর্তন করা উচিত। কারণ, এই সময়ের মধ্যে ব্রাশে এমন ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে যা ধুয়ে ফেললেও সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয় না।

বিশেষ করে যদি টুথব্রাশের ব্রিস্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় বা ইলেকট্রনিক টুথব্রাশের হেড পুরোনো হয়ে যায়, তবে সেটি দ্রুত বদলানো উচিত। পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করলে তা দাঁতের ক্ষতি এবং সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়।

সুস্থ দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে টুথব্রাশ পরিবর্তনের এই বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

 

শেয়ার করুন