
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮, আহত সহস্রাধিক
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুই দিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন। বৃহস্পতিবার ৭৭ জন এবং শুক্রবার আরও ৬১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
হামলার বিস্তারিত
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনী গাজার অন্তত ৮টি এলাকায় হামলা চালায়। এতে ৭৭ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হন। একই ধরনের হামলা শুক্রবারও চালানো হয়।
গত ১৫ মাসে ইসরায়েলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫,৭১৯ জনে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১,০৮,৫৮৩ জন। তবে বাস্তব সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া বহু মানুষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অতর্কিত হামলা ও তার পরিণতি
২০২৩ সালে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১,২০০ জন নিহত এবং ২৪২ জনকে জিম্মি করা হয়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইসরায়েলের অবস্থান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, “ইসরায়েল নিজের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য লড়াই করছে। হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করার আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
গাজায় চলমান সংঘাত মানবিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ সত্ত্বেও সংঘাতের অবসান এখনও দৃশ্যমান নয়।